শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০১৩

USB পোর্ট কে নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে দিন, কেউ আপনার পিসিতে USB পোর্ট ব্যবহার করতে পারবেনা।

বন্ধুরা আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি ছোট একটি টিপস নিয়ে আলোচনা করার জন্য। কোন সফটওয়্যারের কথা আজকে আপনাদের বলবোনা। আমারা অনেকেই কম্পিউটারের USB পোর্ট কে হাইড বা গোপন করে রাখার জন্য সফট ওয়্যার ব্যবহার করে থাকি। ইতিপুর্বে আমি বিভিন্ন পোস্টে USB পোর্ট হাইড করে রাখার জন্য আপনাদের মাঝে সফট ওয়্যার নিয়ে লেখা লেখি করেছি। আজ আমি দেখাবো কিভাবে উইন্ডোজ এক্সপি তে USB পোর্ট কে নিরাপত্তা (হাইড) দেয়া যায়, যাতে করে আপনার পিসি থেকে কেউ কোন ডাটা চুরি করতে না পারে। তাহলে শুরু করা যাক—————–
প্রথমে আপনি Start মেনু তে গিয়ে Runregedit লিখে Ok প্রেস করুন। এবার নিচের মেনু গুলিতে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান—————— 
HKEY_LOCAL_MACHINE\SYSTEM\CurrentControlSet\Services\USBSTOR
এবারে সিলেক্ট USBSTOR করুন দেখুন ডান পাশে একটি নিচের মত উইন্ডো এসেছে–

 এবারে Start এর উপর ডাবল ক্লিক করুন নিচের চিত্রের মত এলে——————

DWORD value 4 থেকে 3 করে দিয়ে Ok করুন। পিসি রিস্ট্রাট করুন। দেখুন এবার আপনার পিসিতে USB পোর্ট দেখা যাচ্ছেনা এবং কেউ আর আপনার পিসি থেকে ডাটা চুরি করতে সক্ষম হবেনা।
আপনি আবার USB পোর্ট কে পুর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হলে DWORD value 4 করে দিন।
তো বন্ধুরা কেমন লাগলো এই টিপসটি তা মন্তব্য করে অনুভুতিকে প্রকাশ করুন।
ধন্যবাদ সহ-

বাংলা ডিকশনারি WITH ENGLISH TO BANGLA সার্চ

আজ আপনাদের উপহার দিবো, ১৬০৭৬ টি শব্দ সম্বলিত একটি ডিকশনারি। এতে পাবেন ইংলিশ থেকে বাংলার প্রতিশব্দ এবং সহজে শব্দ খুজে নেয়ার দারুণ সুযোগ। পোর্টেবল এই সফট টি মাত্র ৮৩৫ কেবি। ইন্সটলের কোন ঝামেলা নেই।

এখান থেকে ডাউনলোড করুন আর উইন রার দিয়ে এক্সট্রাক্ট করুন এবং ফাইল টিতে ডাবল ক্লিক করুন তাহলেই ডিকশনারিটি ওপেন হবে এবং কি খুজছেন সার্চ করলেই ১৬০৭৬ টি শব্দ এর মধ্যে পেয়ে যেতে পারেন আপনার কাংখিত শব্দ টি। তাহলে যাদের প্রয়োজন তারা উপভোগ করুন ।
ধন্যবাদ সহ- 

কোন সফটওয়্যার ছাড়াই উইন্ডোজ ৮-এ নিখুঁত স্ক্রীনশট নিন (একদম সহজ উপায়ে)

আসসালামু আলাইকুম,
প্রথমেই সবাইকে আমার প্রাণ ভরা শুভেচ্ছা রইলো। আশা করি প্রতিটি দিনের মতো আপনারা ভালো আছেন। আজ আপনাদের সাথে একটি নতুন ফিচার শেয়ার করবো, তাও আবার উইন্ডোজ ৮ নিয়ে। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।eee=>>উইন্ডোজ ৮ এর একটি নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হয়েছে সকলের সামনে। আশা করি সকলের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে পারবো। উইন্ডোজ ৮ এখন অনেকেই বলতে সবাই মোটামুটি ব্যাবহার করছেন। তবে অনেকেই এখনও উইন্ডোজ ৮-এর এসব নতুন নতুন ফিচার সম্পর্কে জেনে উঠতে পারেননি। তাই আমি ঠিক করছি, প্রতিদিন উইন্ডোজ ৮ এর নতুন ফিচার নিয়ে আলোচনা এবং শেয়ার করবো।
আজকের বিষয়ে থাকছে উইন্ডোজ ৮-এ স্ক্রিনশট নেওয়া, তাও আবার কোন সফটওয়্যার ছাড়া।
=>>আগে উইন্ডোজ ৭ এ স্ক্রীনশট নেওয়া অনেক জটিল ছিল, কারণ ৭ এ স্ক্রীনশটের জন্য Print Scrn বাটন চাপতে হত এবং তা Paint এ গিয়ে Ctrl+v চেপে পেস্ট করতে হত, আর তা Paint থেকে Save করতে হত। এতে অনেক জটিল এবং সময় নষ্ট হতো। স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করতে হত। এজন্য আজ আমি উইন্ডোজ ৮ এর জন্য আরও সহজ পদ্ধতি শেয়ার করবো।
উইন্ডোজ ৮-এ স্ক্রিনশট নেওয়া আগের চাইতে অনেক বেশি সহজ।এখন উইন্ডোজ ৮-এ একটি ক্লিক করেই স্ক্রিনশট নেওয়ার সুবিধা রয়েছে।
অনেক বেশি সহজ উপায়ে  নিখুঁত স্ক্রিনশট নিতে চাইলে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন–
  • প্রথমে আপনি যেটার স্ক্রিনশট নিতে চান,সেটা ওপেন করুন।
  • আমরা উদাহরণ হিসাবে ডেস্কটপের নিখুঁত স্ক্রিনশট নেবো।
Windows-8-Desktop-Screen-Shot (FILEminimizer)
  • এজন্য ডেক্সটপ থেকে স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য অন্যান্য উইন্ডো বন্ধ করবো।
  • এখন ডেক্সটপে থাকা অবস্থায় আপনাকে কিবোর্ড থেকে চাপতে হবে Windows+Print Scrn বাটন চাপতে হবে। ঠিক নিচের ছবির মতো…
keyboardfng
  • Windows+Print Scrn বাটন চাপার পর নিখুঁত স্ক্রীনশট নেওয়া হবে।
  • এখন আপনি ভাবছেন আপনার স্ক্রীনশট ছবি কোথায় গেলো?
  • স্ক্রীনশট ছবিগুলো আপনি Libraries\Pictures তে পাবেন।
image267
  •  এক কথায়, আপনার কাঙ্ক্ষিত স্ক্রিনশটটি সোজা গিয়ে জমা হয়ে যাবে পিকচার ফোল্ডারে।
  • এখন আপনি স্ক্রীনশট ছবিগুলো দিয়ে ইচ্ছামতো কাজ করতে পারেন।
Screenshot-4-640x400
  • কোন সফট ছাড়াই সহজে ছবি তুলে আপনি অনেক সময় বাঁচাতে পারবেন।
  • আজকের ট্রিক্স কেমন লাগলো তা অবশ্যই comment করে জানাবেন।

===================================================================
=>আশা করি ট্রিক্স টা Apply করে অনেক মজা পাইবেন।
=>আরেকটা বিশেষ ঘোষণা দিলাম-
যদি ফেসবুকে আমাদের ফ্যান পেজে LIKE না দেন, তাহলে কিন্তু আর কোন দিন পোস্ট করুম না!
 https://www.facebook.com/AnyaRakamaBhalobasa18

ট্রিক্সঃ ফায়ারফক্সের আনলিমিটেড ওয়েব এড্রেস বার তৈরি করা।


আসসালামু আলাইকুম,
সবাইকে আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইলো।  আমি আরও আশা করি আগামীর দিনগুলো আপনাদের ফাটাফাটি যাবে, আর যাদের ভালবাসা দিবসে ফাটছে, তাদের অভিনন্দন জানিয়ে আজকের গরমাগরম পোস্ট শুরু করছি। আজ আপনাদের একটি সুন্দর ট্রিক্স শিখাবো, তাও আবার আপনাদের প্রিয় ফায়ারফক্স নিয়ে। ছোট্ট একটি ট্রিক্স…. আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এবং মজা পাইবেন।
===================================================================
ট্রিক্সঃ ফায়ারফক্সের মধ্যে ফায়ারফক্সেঃআনলিমিটেড ওয়েব এড্রেস বার তৈরি করা।
===================================================================
hgjgfj (FILEminimizer)gk (FILEminimizer)
=========================================================
[প্রথমেই বলে রাখি, এই ট্রিক্স নিয়ে আপনাদের কোন বিশেষ ভাবনা আছে কি না, তা আমার জানা নেই, আবার কেউ স্বপ্নেও এটা ভেবে ছিল কি না, তাও জানি না। তাই যারা  অতি অভিজ্ঞ তদের এই পোস্ট দেখা বেআইনি ঘোষণা করলাম।]
===================================================================

ভূমিকা

=> আপনি হয়তো ভাবছেন আনলিমিটেড ওয়েব এড্রেস বার তৈরি করা‎ আবার কি জিনিস, তাই প্রথমে ছোট্ট একটা ভূমিকা দেবো, আপনি একটু মনের মাঝে ভাবুন যদি মোজিলা ফায়ারফক্স এর মধ্যে আরেক টা ফায়ারফক্স হতো তাহলে কেমন হতো, আবার তার মধ্যে যদি আরেক টা হতো তাহলে কেমন হতো……..( এভাবে একটার পর আরেকটা চলতে থাকবে )
===================================================================
=>ট্রিক্স টা যেভাবে Apply করবেন……
১.প্রথমে মোজিলা ফায়ারফক্স ওপেন করুন।
২.একটা New Tab খুলুন।
৩.এখন Address Bar এ নিচের লেখাটি লেখুন বা copy/paste করুন।
chrome://browser/content/browser.xul
fhdh (FILEminimizer)
৪.লেখাটি লেখুন বা copy/paste করে Enter চাপুন।
৫.এখন দেখুন আমার ম্যাজিক…..
gjgfjfgj (FILEminimizer)
৬.আপনি এখন আপনার প্রিয় ফায়ারফক্সে একটার ভিতর আরেকটা ফায়ারফক্স দেখতে পারবেন।
৭. এখন আপনি চাইলে দ্বিতীয় Address Bar এ লেখটি আবার লিখে আরেকটি ফায়ারফক্স তৈরি করতে পারবেন।
৮. এখন আর আমায় আর কিছু বলতে হবে না, আপনি নিজের ইচ্ছা মত একের পর এক ফায়ারফক্স তৈরি করতে পারবেন।
===================================================================
=>আশা করি ট্রিক্স টা Apply করে অনেক মজা পাইবেন।
=>আরেকটা বিশেষ ঘোষণা দিলাম-
যদি ফেসবুকে আমাদের ফ্যান পেজে LIKE না দেন, তাহলে কিন্তু আর কোন দিন পোস্ট করুম না!
drink_facebookপেজ লিংকঃ
https://www.facebook.com/AnyaRakamaBhalobasa18
===================================================================
আজ এইডা তো গেলো পর্ব ১নং। আগামীতে আরও নতুন পর্ব নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, এজন্য বেশি বেশি LIKE করুন আর MUST কমেন্ট করবেন। নইলে কিন্তু…..
===================================================================
——ভালো থাকুন – সুস্থ থাকুন——

সাধারণ ছবিকে করে তুলুন চরম আকর্ষণীয়


আসসালামু আলাইকুম,
সবাইকে আমার পক্ষ থেকে রইল প্রীতি ও শুভেচ্ছা । ছবিকে এক্সপার্টরা ফটোশপ এর মাধ্যমে অনেক আকর্ষণীয় করে তোলে। তবে এর জন্য ফটোশপ এ অভিজ্ঞ হওয়া প্রয়োজন । সামান্য বা টুকটাক জ্ঞান থাকলেও অতটা সুন্দর ভাবে এডিট করা যায় না । আজকে দেখাব যে কিভাবে অত্যন্ত সহজেই কোন ছবিকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায় ।
photo_editor

কিভাবে করবেনঃ

১। প্রথমে এই লিঙ্ক এ যান ।সেখানে গেলেই দেখতে পারবেন অজস্র রকমের ছবি ।
২। সেখানে একটা কার্টুন ফেস দেখতে পারবেন যেটা সব ছবিতেই আছে । এই কার্টুন ফেস এর ওখানেই হবে আপনার ফেস । যে ছবি আপনার পছন্দ হবে সেটা আপনি ক্লিক করুন ।
৩। তারপর আপনার ছবি আপলোড করুন । ব্যাস তারপর নেক্সট এ ক্লিক করলেই জাদু দেখবেন ।
Capture
৪। এখানে হাজার হাজার ফ্রেম আছে । বামে ও উপরে বিভাগ আছে । আপনার কিসের ছবি তে মিক্স করবেন বা কিসের জন্য ছবি এডিট করবেন টা ঠিক করে দিতে পারবেন । আপনি wallpaper,photo effect,fb cover,fb profile ইত্যাদি এর জন্য ছবি তৈরি করতে পারবেন ।
dc34ah1
 অনেকেই হয়তো ভাববেন যে অতটা ভাল হবে না , বা কেমন হবে । আমি কিছু উদাহরণ দিচ্ছি যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে এটা কতটা কার্যকর ।

___উদাহরনঃ ___

আমি Mark Zuckerberg  এর একটা সাধারণ ছবি দিয়ে শুরু করলাম ।

সাধারণ ছবি

Mark_Zuckerberg_at_the_37th_G8_Summit_in_Deauville_018_v1

___এডিট করা ছবি সমুহঃ ___

14548837_gwrBN_1368961497
1
4
3

___fb cover এর জন্য___

9
10
vWyHr
আশা করি পোস্ট টা আপনাদের কাজে আসবে । কোন প্রকার ভুল থাকলে ক্ষমা করে দিয়েন ।
আমার fb page এ আমন্ত্রণ রইল
ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন ।

Photoshop Zone:আপনার শার্ট এর কালার পরিবর্তন করুন । [অবশ্যই আপনার কাজে লাগবে]

>>> এই পোস্টটি ২,৩০১ বার দেখা হয়েছে <<< আসসালামু আলাইকুম,
আজকে আপনাদের একটা গুরুত্ব পূর্ণ জিনিস শিখাব । এটা আপনাদের অনেক কাজে আসবে । তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয়তা ও কাজ দেখে নিন। 
 

প্রয়োজনীয়তা ও কাজ :    কথারকথা আপনি কোথাও এক দিন এর জন্য বেড়াতে গিয়েছিলেন। আপনি অনেক জায়গাতে ঘুরলেন। কিন্তু আপনি যে সব ছবি তুলবেন সবই কিন্তু একই শার্ট পরা অবস্থায়। এটা দেখতে কেমন বেখাপ্পা লাগে। আজকের পোস্ট দেখার মাধ্যমে আপনি শার্ট এর কালার পরিবর্তন করতে পারেন।

তাহলে শুরু করা যাক_______________________________
### প্রথমে ফটোশপ ওপেন করুন। তারপর আপনার সেই ছবিটা ওপেন করুন যেটার শার্ট এর কালার পরিবর্তন করতে চান । { file>>open>>সেই ছবি >> open } । এবার কীবোর্ড থেকে “M” চাপুন বা টুলবার থেকে rectangular marquee tool সিলেক্ট করুন । এবার নিজের ছবির আশপাশ সিলেক্ট করে নিন।

### এবার ( উপরের মেনু বার এ ) image>>adjustment>>hue/saturation এ ক্লিক করুন অথবা ctrl + U
চাপুন। তাহলে একটা box আসবে। সেখানে (edit লেখা) একটা কালার সিলেক্ট করার একটা অপশন দেখবেন। সেখান থেকে master বাদে যেকোনো কালার সিলেক্ট করুন । এই অবস্থাতেই ছবির শার্ট এ ক্লিক করুন। (click করার মাধ্যমে শার্ট এর কালার সিলেক্ট হয়)


### Hue কমে আর বাড়িয়ে শার্ট এর কালার পরিবর্তন করুন । saturation কমে আর বাড়িয়ে শার্ট এর উজ্জলতা পরিবর্তন করুন । lightness কমে আর বাড়িয়ে শার্ট গাড় বা  হালকা করুন । এভাবে শার্ট এর কালার পরিবর্তন করুন ।

******************************************************************************************************
তবে যদি আপনার ছবি টা নিচের ছবির মত হয় তাহলে হবেনা। নিচের শার্ট এর কালার আর আমার দেহের কালার একই। উপরের ছবি তে শার্ট এর কালার এর সাথে চারকোণা সিলেক্ট করা বক্স এর কোন কালার এর সাথে মিল খায় না ।মানে শার্ট ছাড়া নীল কালার নাই। 


#######     আপনি যদি এই ছবিটার শার্ট এর কালার পরিবর্তন করতে যান তাহলে এরকম হবে ______


####  তবে চিন্তার কারন নাই । এরও বিকল্প উপায়ও আছে।

                               ____  বিকল্প উপায়____


####   আপনি প্রথমে পিকচার এর শুধু শার্ট টা সিলেক্ট করে নিন  ( pen tool দিয়ে ) ।
{{{ আপনি সিলেক্ট করতে না পারলে এখানে ক্লিক করে  আমার আগের পোস্টটা  দেখেন । এখানে কিভাবে সিলেক্ট করবেন টার বর্ণনা দেওয়া আসে । সেই লাইন গুলো নীল কালার করা আসে। শুধু নীল লেখাটা follow করুন  }}} 


### সিলেক্ট করা হলে আগের মত ভাবে hue/saturation থেকে শার্ট এর  কালার পরিবর্তন করুন । তাহলে এ রকম দেখাবে __________________

____________________________________________________
কোন প্রকার সমস্যা থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমি সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব।
আপনার পোস্টটি ভাল লাগলে প্লিজ আমার  fb page এ একটা লাইক দিন ।
https://www.facebook.com/AnyaRakamaBhalobasa18 Link: 
ভাল থাকুন, ইনশাল্লাহ আবার দেখা হবে। ধন্যবাদ।।

মিনি টিপসঃ RAM এর গতি বাড়ান।

আপনারা কি জানেন কম্পিউটার বন্ধ করার সময় ভার্চুয়াল মেমোরি হিসেবে কাজ করা পেইজ ফাইল মুছে ফেলে RAM এর গতি বাড়ানো যায়,এত হয়ত অনেকেরি জানা নেই…এজন্য প্রথমে start থেকে control panel-এ যান। এখান থেকে administrative tools- এরপর local security policy আবার security settings আবার local policies এরপর security options ঠিকানায় যান। এরপর ডান পাশের shutdown:clear virtual memory page file অপশনে ডাবল ক্লিক করুন এবং অপশনটি enable করে ok দিয়ে বের হয়ে আসুন। এখন কম্পিউটার বন্ধের সময় virtual memory page file স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে & RAM এর গতি বাড়বে। এভাবে আপনি আপনার কম্পিউটার এর গতি বাড়াতে পারেন। আশা করি এই টিপসটা সবার কাজে লাগবে।
আপনার পিসিতে যে কেউ এক্সেস করার জন্য চেষ্টা করতে পারে আপনার অগোচরে। তাই পাসওয়ার্ড ব্যবহার এর ক্ষেত্রে একটু জোরদার করুন। আর এই ইউজার পাসওয়ার্ড কেউ ভুল দিয়ে খোলার চেষ্টা করলে যেন পিসি হ্যাং হয়ে যায় সেব্যবস্থা করুন।


প্রথমে নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুন।
Control Panel > Administrative Tools > Local Security Policy > Security Settings > Account Policies > Account Lockout Policy
এবং তিনটি অপশনেই ডাবল ক্লিক করে ভেলু ৩ করে দিন
এবার Security Options এ যেয়ে Enabled করে দিন
Security Settings > Local Policies > Security Options
এটা ক্লোজ করে Start মেনু থেকে Run এ গিয়ে টাইপ করুন REGEDT এবং ইন্টার প্রেস করুন
এর নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুন
HKEY_LOCAL_MACHINE > SOFTWARE > MICROSOFT > WINDOWS NT > CURRENTVERSION > WINLOGON
 এখানে এসে Forceunlocklogon এ ডাবল ক্লিক করে ভেলু ১ করে দিন

এরপর ক্লোজ করে পিসি রিষ্টার্ট দিন আর দেখুন যদি ভুল পাসওয়ার্ড তিন বার দেওয়া হয় তাহলে পিসি হ্যাং হয়ে যাবে ।
ধন্যবাদ সবেইকে।

জেনে নিন উইন্ডোজের Log off, Lock, Shutdown, Restart, Sleep/Standby, Hibernate, Hybrid Sleep কমান্ড গুলোর আসলে কাজ কি

“বিসমিল্লাহহির রাহমানির রাহিম”

CMD_2_F

আসসালামু আলাইকুম।

আশাকরি সবাই ভালই আছেন। সবাইকে আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট।
আমরা প্রতিদিন কম্পিউটারে কত কাজই না করি। কিন্তু প্রতিবারই কম্পিউটার চালু করার সময় আমাদের Start এবং বন্ধ করার সময় Shutdown করতে হয়। তাছাড়া বিভিন্ন সময় Log off, Lock, Restart, Sleep/Standby, Hibernate, Hybrid Sleep এর প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই কমান্ড গুলো বলতে আসলে কি বোঝাই আর এদের কাজই বা কি জানলে মন্দ হয় না।
তাই আপনাদের আজ খুব অল্প কথাই Log off, Lock, Shutdown, Restart, Sleep/Standby, Hibernate, Hybrid Sleep সম্পর্কে হালকা ধারনা দিতে চাই। প্রথমেই,

Log off

আপনি যখন কম্পিউটার চালু করেন তখন আপনার উইন্ডোজের যদি একটা User Account থাকে তাহলে অটোমেটিক সেই এ্যাকাউন্টে Log In হয়ে যায় ফলে আপনি আপনার উইন্ডোজের এ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন। আপনি কাজ করতে করতে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি দিতে চাইলে আপনার এ্যাকাউন্টটি Log off করে রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে কম্পিউটার চালু থাকবে কিন্তু কোনো কাজ করা যাবে না। কম্পিউটার চালু থাকায় বিদ্যুৎ খরচ হয় তাই এই উদ্দেশ্যে সাধারনত কেউ লগ অফ করে না। সাধারনত যে সব কম্পিউটারে একাধিক ইউজার অর্থাৎ একাধিক User Account থাকে তারা লগ অফ কমান্ড ব্যবহার করে থাকেন এক এ্যাকাউন্ট লগ অফ করে অন্য এ্যাকাউন্টে লগ ইন করার জন্য। তবে আপনাকে লগ অফ করার আগে সব কাজ সেভ করতে হবে তা না হলে আনসেভড ডাটা ফেরত পাবেন না।
বর্তমান যুগে সবাই ফেসবুক ব্যবহার করেন তাই একটা উদাহরন দিলে সবাই আর ভাল করে বুঝতে পারবেন। ফেসবুকের লগ ইন এবং লগ আউট হল যথাক্রমে উইন্ডোজের লগ ইন এবং লফ অফ। আপনার যদি একটা ব্রাওজার এবং ফেসবুক এ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে আপনার লগ অফ এর প্রয়োজন হবে না। তাই একটি কম্পিউটারে একটি মাত্র ইউজার থাকলে Log off এর প্রয়োজন পরে না।

Lock

এটা মূলত ব্যবহার করা হয় Privacy ensure করার জন্য। আপনি Lock এর কমান্ড দিলে তাৎক্ষনিকভাবে আপনার কম্পিউটার লক হয়ে যাবে। পরবর্তীতে আনলক করার জন্য আপনার ইউজার এ্যাকাউন্টে যদি Password সেট করা থাকে তাহলে পাসওয়ার্ড দিয়ে আনলক করতে হবে।
ধরুন আপনি কোনো পার্সোনাল কাজ করছেন কম্পিউটারে এমন সময় ৫ মিনিটের জন্য আপনাকে কম্পিউটার থেকে উঠতে হবে এমন সময় আপনার কম্পিউটার এভাবে ফেলে রেখে গেলে কেউ আপনার পার্সোনাল কাজ দেখে ফেলতে পারে, আবার সাটডাউন করলে আবার ঝামেলা। তাই এমন সময় আপনি আপনার কম্পিউটার Lock করলে কাজ শেষে এসে আনলক করে আপনার কাজ যেভাবে রেখে গিয়েসিলেন ঠিক সেভাবেই পাবেন। মধ্য দিয়ে লক করার জন্য আপনার প্রাইভেসি রক্ষা হল সেই সাথে সাটডাউন এর ঝামেলা থেকে মুক্তি পেলেন।

Shutdown

Shutdown কমান্ড এর মাধ্যমে আপনার কম্পিউটার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে এবং আর কোনো বিদ্যুৎ গ্রহন করবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে সাটডাউন করার আগে অবশ্যই সব ডাটা সেভ করতে হবে অন্যথায় আপনি আপনার আনসেভড ডাটা হারাবেন।
সাধারনত ব্যবহারকারীরা সব কাজ শেষে দীর্ঘ বিরতির ক্ষেত্রে সাটডাউন কমান্ড দিয়ে থাকেন।

Restart

Restart কমান্ড এর মাধ্যমে আপনার কম্পিউটার নতুন করে চালু হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে কম্পিউটার রিস্টার্ট করার আগে অবশ্যই সকল কাজ সেভ করে নিতে হবে। তা না হলে আনসেভড ডাটা ফেরত পাবেন না।

Sleep/Standby

অনেকের মতে Sleep এবং Standby হল একই জিনিস। স্লিপ মুডে কম্পিউটার সামান্য পরিমান বিদ্যুৎ গ্রহন করে এবং আপনার আনসেভড ডাটা RAM এ সংরক্ষণ করে রাখে। এ অবস্থায় আপনার মাউস অথবা কীবোর্ড এর যে কোনো যায়গায় চাপ লাগলেই সাথে সাথে আপনার কম্পিউটার চালু হয়ে যাবে এবং আপনি আপনার কম্পিউটার কে পূর্বের অবস্থায় ফিরে পাবেন।
সাধারনত অল্প সময়ের বিরতির ক্ষেত্রে স্লিপ মুড ব্যবহার করা হয়, কারন সাটডাউন করে আবার স্টার্ট করা বেশ সময় সাপেক্ষ ও ঝামেলার । তবে আপনি স্লিপ মুডে থাকা অবস্থায় বিদ্যুৎ চলে গেলে আপনি আর আপনার আনসেভড ডাটা ফেরত পাবেন না। তাই যাদের ডেস্কটপে UPS নেই তাদের স্লিপ মোড ব্যবহার করলে আগে সব কাজ সেভ করে নিতে হবে। আর যাদের UPS আছে অথবা Laptop আছে তারা Sleep ব্যবহার করে সময় এবং বিদ্যুৎ/ব্যাটারী সাশ্রয় করতে পারবেন। এই পদ্ধতি খুব দ্রুত কাজ করে। সল্প বিরতির জন্য সাটডাউন করার কোনো মানেই হয় না।

Hibernate

Hibernate মোডে আপনি আপনার কম্পিউটারকে যেই অবস্থায় রেখে যাবেন ঠিক সেই অবস্থাতেই ফিরে পাবেন। আপনি যখন Hibernate মোডে প্রবেশ করবেন তখন আপনার সকল আনসেভড ডাটা আপনার Hard Disk এ সংরক্ষিত হবে ফলে আপনার কোনো ডাটা হারানোর ভয় থাকল না। এতে করে আপনার কম্পিউটার সাটডাউন এর মত হয়ে যাবে। অর্থাৎ কম্পিউটার আর কোনো বিদ্যুৎ গ্রহন করবে না। এতে করে আপনার বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। বিদ্যুৎ গ্রহন না করায় বিদ্যুৎ চলে গেলে ডাটা হারানোর কোন ভয়ই থাকল না। আপনি যখন Resume করবেন তখন কম্পিউটারকে আগের অবস্থায় ফেরত পাবেন।
ধরুন আপনি কম্পিউটার এ অনেক কাজ করছেন এক্ষেত্রে আপনি যদি বেশ কিছু সময়ের জন্য অন্য কোনো কাজে যান সেক্ষেত্রে ফিরে এসে আবার সব প্রোগ্রাম গুলো চালু করা অনেক কষ্টের। তাই ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপে Hibernate মোড ব্যবহার করে সময় ও বিদ্যুৎ/ব্যাটারী সাশ্রয় করা যায় সেই সাথে ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই পদ্ধতি স্লিপ মোডের চেয়ে কিছুটা ধীরগতির।

Hybrid Sleep

Hybrid Sleep হল Sleep এবং Hibernate মোডের সংমিশ্রণ। এক্ষেত্রে আপনার আনসেভড ডাটা RAM এবং Hard Disk উভয় জায়গাতেই Save হবে। ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে কোনো সমস্যা নেই। পরবর্তীতে কম্পিউটার তা Restore করতে পারবে। তাই Hybrid Sleep মোডে আপনি খুব সল্প সময়ে আপনার কম্পিউটার Resume করতে পারবেন এবং আপনার কম্পিউটারকে আগের অবস্থায় ফেরত পাবেন। এক্ষেত্রে কম্পিউটার খুব সল্প পরিমান বিদ্যুৎ গ্রহন করে। Hybrid Sleep অন থাকলে Sleep মোডে প্রবেশ করলে কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে Hybrid Sleep এ প্রবেশ করে।


আমি পোস্টটা তে খুব সহজ করে সাধারন ভাষায় বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারনা দেবার চেষ্টা করেছি। মানুষ মাত্রই ভুল। কোনো ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে সমাধান করে দেবার জন্য অনুরধ করছি। আর পরিশেষে বলতে চাই পোস্টটি কেমন হল কমেন্টের মাধ্যমে জানালে ভাল হয়।

ছোট একটি সফট দিয়ে ৩৫টি ভাইরাস সহ অটোরান ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকুন এবং USB পোর্টকে ব্লক করে রাখুন

আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম আজ M Autorun Killer 2.1 Smart নামের সুন্দর একটি ছোট সফটওয়্যার। যা দিয়ে ৩৫ টির মত ভাইরাস ও অটোরান ভাইরাস থেকে আপনার কম্পিউটারকে মুক্ত রাখবে। হা আরও পাবেন USB ডিভাইস কে ব্লক করে রাখার দারুন সুযোগ।  বিশ্বাস হচ্ছেনা একবার ট্রাই করেই দেখুন। এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন জিপ ফাইল মাত্র 540 kbএবং Extract করুন। পেয়ে যাবেন সেট আপ ফাইল M Autorun Killer 2.1 Smart এটা দিয়ে ইন্সটল করুন। ইন্সটল শেষে ডেস্কটপ ও ডান দিকে নিচে পাবেন এর আইকন, তাতে ডান ক্লিক করলেই পাবেন Show Main নামের অপশন। এবার বাম ক্লিক করুন নিচের চিত্রের মত পাবেন। 
 Scan And Clean এ ক্লিক করুন
দেখুন স্ক্যান করতে শুরু করবে ও স্ক্যান শেষে
OK করুন।
ব্যাস কাজ শেষ। হা আপনি
USB ডিভাইসকে
ব্লক করে রাখতে চাইলে উপরের চিত্রে যেখানে
Tools অপশন আছে ওখানে ক্লিক করুন ড্রপ মেনুতে পাবেন Block USB Port তাতে টিক
চিহ্ন দিন, দেখুন আপনার
USB পোর্টে কোন
কিছু দেখা যাবেনা বা কাজ করবে না। পুনরায়
USB পোর্টের
প্রয়োজন হলে ওখান থেকে টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিন।
তাহলে
এই সফটওয়্যারটির গুনাবলী গুলি একটু দেখে নেয়া যাক।
১.
সফটওয়্যারের আপডেট প্রয়োজন নেই।
২.
আপনার কম্পিউটার সবসময়
অজানা অটো রান ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকবে।
৩.
স্ক্যান করে খোজ করুন ভাইরাস কে।
৪.কম্পিউটারে
ফ্ল্যাশ ডিস্ক লাগানোর আগেই তা ব্লক করে দিতে পারেন।
৫.
স্বয়ংক্রিয় ভাবে ভাইরাস স্ক্যান করবে এবং দেখবেন কোন অটো রান ভাইরাস পাওয়া যায়নি।
৬.
সুপার গতি সম্পন্ন।
৭.
স্বয়ংক্রিয়

ভাবে স্ক্যান করে আপনার কম্পিউটার এর হার্ড ডিস্ক ও
USB কে রাখবে পরিচ্ছন্ন।
৮.
স্বয়ংক্রিয় ভাবে স্ক্যান করে নিবে আপনার সংযুক্ত নতুন ডিভাইস।
তাহলে
বন্ধুরা একবার এই সফটটি পরিক্ষা করে দেখুন কেমন লাগে।
ধন্যবাদ
সহ-
মোঃ
জাকির হোসেন
২৭.০৯.২০১১ 
আমার যত লেখা পিসি হেল্প লাইন বিডিতে পাবেন 

অ্যান্টিভাইরাস । কার জন্য কোনটা?

আসসালামু আলাইকুম,কেমন আছেন অপনারা ? আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম  নানান অ্যান্টিভাইরাস এর খবর । দেখে শুনে আপনার পিসি বা অন্যকোন ডিভাইছ এ ভাল অ্যান্টিভাইরাস  ব্যবহার করুন ।
কম্পিউটার ব্যবহার করছেন আর ভাইরাসে নাকানিচুবানি খাননি এমন ব্যবহারকারী কাউকে চেনেন নাকি? উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য এ সমস্যা নতুন নয়। ব্যক্তিগত হোক বা অফিসের কম্পিউটারই হোক ভাইরাস, ওয়ার্ম, ম্যালওয়্যার আক্রমণ থেকে কম্পিউটারকে নিরাপদে রাখতে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার প্রয়োজন।
প্রতিরক্ষায় অ্যান্টিভাইরাসঃ
বিভিন্ন অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার বিভিন্ন ধরনের ম্যালওয়ার প্রতিরোধ, স্প্যাম প্রতিকারের কাজ করে। উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, বিভিন্ন ম্যালওয়ার যেমন নানা প্রকৃতির কম্পিউটার ভাইরাস, ক্ষতিকারক বিএইচও (ব্রাউজার হেলপার অবজেক্ট), ব্রাউজার হাইজ্যাকার, র্যানসামওয়্যার, কিলগার্স, রুটকিটস, ট্রোজান হর্স, ওয়ার্ম, ক্ষতিকর লেয়ার্ড সার্ভিস প্রোভাইডার, ডায়ালার্স, ফ্রডটুলস, অ্যাডওয়ার ও স্পাইওয়ারের বিরুদ্ধে কাজ করে অ্যান্টিভাইরাস। মোদ্দা কথা, আপনার কম্পিউটারের সার্বিক নিরাপত্তা, বিভিন্ন তথ্য, ফাইল রক্ষার জন্য কাজ করে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিভাইরাস। ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টোন-ডাউনটাউনের এক দল প্রযুক্তি গবেষকের মতে, প্রতিমাসে ২০০-এর বেশি নতুন ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। আর এমনিতেই তো ১০ হাজারের বেশি পরিচিত ভাইরাস প্রতিনিয়ত আপনার কম্পিউটারে অনুপ্রবেশের সুযোগ খোঁজে। আপনার পিসিতে ভাইরাস ঠেকানো, পুরোনো ভাইরাস মুছে ফেলতে, হ্যাকিং, ফিশিং, স্প্যামিংয়ের বিরুদ্ধে অ্যান্টিভাইরাস অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে। ইন্টারনেট নিরাপত্তার অ্যান্টিভাইরাস সন্দেহজনক ওয়েবসাইট, ফিশিং ওয়েবসাইট প্রতিরোধ, ই-মেইল ও ইনস্ট্যান্ট বার্তা স্ক্যানের মাধ্যমে ক্ষতিকর লিংক, ছবি, ফাইল নামানো ও অন্যান্য স্ক্যাম প্রতিরোধে কাজ করে। এ ছাড়া পাসওয়ার্ড চুরি প্রতিরোধসহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটে শিশুদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে অ্যান্টিভাইরাস ও ইন্টারনেট সিকিউরিটি কাজ করে।
বাংলাদেশে অনেক ধরনের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার এখন পাওয়া যায়। ঘরোয়া কিংবা অফিস-আদালতে, একজন বা তিনজন ব্যবহারকারীর ওপর নির্ভর করে এসবের দাম।কিছু অ্যান্টিভাইরাসের খোঁজ নিয়ে এ আয়োজন।
ক্যাসপারস্কি অ্যান্টিভাইরাসঃ
ব্যক্তিগত ব্যবহার, ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবহার ও বড় আকারের প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য ক্যাসপারস্কি অ্যান্টিভাইরাস পাওয়া যায়। ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীদের জন্য ক্যাসপারস্কি অ্যান্টিভাইরাস, ইন্টারনেট সিকিউরিটি, মোবাইল সিকিউরিটি, ট্যাবলেট সিকিউরিটি, সিকিউরিটি ফর ম্যাক, ক্যাসপারস্কি পিউর রয়েছে। বর্তমানে বৈশাখী ছাড় হিসেবে ক্যাসপারস্কি অ্যান্টিভাইরাস একজন ব্যবহারকারীর জন্য পাওয়া যাচ্ছে ৩৯৯ টাকায়। তিনজন ব্যবহারকারীর জন্য দাম ১১৯৯ টাকা।
নরটন অ্যান্টিভাইরাসঃ
ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার ওপর নির্ভর করে বাজারে নরটন অ্যান্টিভাইরাস, ইন্টারনেট সিকিউরিটি ও নরটন ৩৬০ অ্যান্টিভাইরাস পাওয়া যায়। একজন ব্যবহারকারীর জন্য নরটন অ্যান্টিভাইরাসের দাম ৭০০, ইন্টারনেট সিকিউরিটির দাম ১১০০ ও নরটন ৩৬০-এর দাম ১৫০০ টাকা। কম্পিউটার ধীরগতির হয়ে যাওয়া অধিকাংশ অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারেরই অসুবিধা। নরটন অ্যান্টিভাইরাস ও ইন্টারনেট সিকিউরিটি খুব কম শক্তি ব্যবহার করে।তাই কম্পিউটার তেমন ধীরগতির হয় না।
ইসেটঃ
ঘরোয়া ব্যবহারকারীদের জন্য ইসেটের অ্যান্টিভাইরাস, স্মার্ট সিকিউরিটি পাওয়া যায়। একজন ব্যবহারকারীর জন্য ইসেট অ্যান্টিভাইরাসের দাম ৭০০ টাকা, স্মার্ট সিকিউরিটির দাম ১১০০ টাকা।
অ্যাভিরাঃ
দুটি লাইসেন্স কি যুক্ত অ্যাভিরা ইন্টারনেট সিকিউরিটির দাম পড়ে ১০৯৯ টাকা।
ইস্ক্যানঃ
একটি লাইসেন্স নম্বরযুক্ত ইস্ক্যান ইন্টারনেট সিকিউরিটির দাম পড়ে ১১০০ টাকা।
প্যান্ডাঃ
একজন ব্যবহারকারীর জন্য পান্ডা ইন্টারনেট সিকিউরিটির দাম ১০০০ টাকা।
অন্যান্যঃ
বুলগার্ড ইন্টারনেট সিকিউরিটির দাম পড়ে ৮০০ টাকা। কুইকহিল ইন্টারনেট সিকিউরিটির দাম ৭০০ টাকা। এ ছাড়া বাজারে বিটডিফেন্ডার, কোবরা, জি ডেটা অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার পাওয়া যায়।
প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্যঃ
প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সংখ্যার সার্ভার ও কম্পিউটার নিরাপত্তার জন্য আছে ক্যাসপারস্কি স্মল অফিস সিকিউরিটি। এর মাধ্যমে সর্বাধিক তিনটি সার্ভার ও ২৫টি কম্পিউটারের নিরাপত্তা দেওয়া যায়। এ ছাড়া বড় আকারের ব্যবসার জন্য আছে ক্যাসপারস্কি ওপেন স্পেস সিকিউরিটি ও টার্গেটেড সিকিউরিটি। ১০-এর বেশি কম্পিউটার নিরাপত্তার জন্য বিটডিফেন্ডার, ইসেট বেশ কার্যকর।
স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের নিরাপত্তায়ঃ
বাজারে এক বছর মেয়াদি একজন ব্যবহারকারীর জন্য ক্যাসপারস্কি মোবাইল সিকিউরিটি ও ইন্টারনেট সিকিউরিটি পাওয়া যায়। এর দাম ২৫০ টাকা। এ ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, আইফোন ও আইপ্যাডে ব্যবহারের জন্য রয়েছে নরটনের মোবাইল সিকিউরিটি। ইন্টারনেট সিকিউরিটি ব্যবহারের মাধ্যমে ভাইরাস প্রতিরোধের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর, বার্তা ব্যাকআপ, দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ, মেমোরি কার্ড নিরাপত্তা-সুবিধা পাওয়া যায়। দাম ৫০০ টাকা। কুইকহিল মোবাইলসিকিউরিটির দাম ৪৯০ টাকা।
কোথায় পাবেনঃ
ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিসিএস কম্পিউটার সিটি, মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের বিভিন্ন দোকানে খুচরা মূল্যে অ্যান্টিভাইরাস কিনতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, জিইসি, সিলেটের বন্দরবাজারের বিভিন্ন কম্পিউটার ও প্রযুক্তিপণ্যের দোকানে অ্যান্টিভাইরাস কিনতে পাওয়া যায়।
যা খেয়াল রাখবেনঃ
®বেশিরভাগ অ্যান্টিভাইরাস ও ইন্টারনেট সিকিউরিটি ওয়েব থেকে সরাসরি হালনাগাদ করে নেওয়া যায়।
  ®অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্স কি (নম্বর)সাবধানে রাখুন।
  ®পেনড্রাইভ বা এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক কম্পিউটারে ব্যবহারের সময় একটু ধৈর্য ধরে স্ক্যান করার সময় দিন।
  ®প্রতিবছর শেষে অ্যান্টিভাইরাস লাইসেন্স নবায়ন করে নিতে হয়।
  ®নিয়মিত অ্যান্টিভাইরাস হালানাগাদ করুন।
  ®নিয়মিত অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে আপনার কম্পিউটার বিভিন্ন ড্রাইভ স্ক্যান করুন।
  ®লাইসেন্স উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই নবায়ন করুন।
  ®অ্যান্টিভাইরাসের রেসকিউ টুলসের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কম্পিউটারের তথ্য পুনরুদ্ধার করা যায়।
( অবলম্বনে-প্রথম আলো )